Connect with us

কবিতা

স্বপ্ন সাহসনী- ইমরুল হাসান

Avatar

Published

on

গত রাতে তোমায় স্বপ্নে দেখলাম বিভোর হয়ে
প্রভাতো বেলায় আলো শূন্যতায়,
সবুজ শ্যামল তরুণ বৃক্ষের নিচে
দাঁড়িয়ে,আছ তুমি উচ্ছ্বাসে।

হাত বাড়িয়ে, ডাকছো কাছে
মায়ার বন্ধনে টানছো পাঁশে!
ছুঁই ছুঁই করে ছুঁয়া হলো না।
স্বপ্নের মাঝে কষ্ট পায় হৃদয়
আহাজারি করে উষ্টা খাই।
শিকড় লাগে পায়, পরলাম যে হায়!

মনের অজান্তে স্পর্শ লাগলো গায়,
তুমি কাঁপা স্বরে বলে উঠে হে?
তুমি হাত বাড়িয়ে দিলে আমার হাতে
উঠে দাঁড়িয়ে চাইলাম তোমার দু’চোখে
উচ্ছ্বাস এর কন্ঠে বলে ফেললাম ‘তুমি, কে? কে, ‘তুমি’’?
তুমি বললে কাপা “কন্ঠে,” আমি স্বপ্ন সাহসনী।

আমি আসি তোমার স্বপ্নে, তোমায় জাগ্রত করতে,
হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেল-
তুমি কেন হারিয়ে গেলে!
জাগ্রত হৃদয় কান্না-হতাশার মাঝে,
সকাল সন্ধ্যা –প্রভাতে
খুঁজি তোমায় স্বপ্ন মাঝে।

অতৃপ্ত হৃদয়ে পাইনি দেখা ভালোবাসার।
কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে কেটে গেল সময়,
উৎকৃষ্ট মনের বাসনা পূর্ণতা পেল না
হে আমার স্বপ্নসাহসনী।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

কবিতা

পিরিতি- ইমরুল হাসান

Avatar

Published

on

By

প্রিরিতি

ঐ হুনছোস এখানা কথা?
বটতলায় দুইডা ছ্যামরা ছেমরি পিরিতি করে !
হা হা হা – ঢং করিস নারে বিলাসী। ছেমরির চেহারা কেমুনরে?
ক্যান তুই কী পিরিতি করবার চাস ঐ ছেমরির লগে –
হ করুমুইতো তুই তো মোর লগে পিরিতি করোস না-
আমাগোর আবার পিরিতি –
এ্যামুন কথা কস ক্যান রে তুই? তোর কী মেলা কষ্ট ঠেহে-
দহনে মোর পাপে তাপে পুরে যাস তহন ক্যামেনডা লাগে,
সিদা কথা হুন আমাগো জন্য পিরিতি নারে
পিরিতি করে বড় লোক ছেমড়া- ছেমরি

যাগো ভাত জুটে না কপালে
বাতি জ্বলে না ঘরে, তাগো আবার পিরিতি কিরে!
বৃষ্টি নামলে ফুটো দিয়া জল পড়ে
দুইচোঁখে দেহস নারে –
হুন বিলাসী?

নুন আনতে পান্তাফুরায় প্রেম-পিরিতি এর মধ্যই হয়-
কথা ক- তোর জন্য পরাণডা পুরে,
হাঁঝের কালে সাঁঝবি তুই
ঘুরতে যামু বকুলপুরে, নানীর বাড়ির খালের পাড়ে,
রেডি থাহিস গো বিলাসী!!
মেলা থেইকা কিনাদিমু শাড়িচুড়ি,
আলতা-সুনু পাওডার কবিরাজের বাড়ী থেইকা!
বিরাট বড় মেলা বহে?
আলোর ঝলোকে বুঝবি তুই পিরিতি কী জিনিসি রে। “বিলাস- (সংক্ষিপ্ত)

Continue Reading

কবিতা

অপেক্ষা-ইমরুল হাসান

Avatar

Published

on

By

অপেক্ষার প্রহর বড়ই কষ্টকর
তবুও আছি অপেক্ষায় তোমার,
দিয়েছিলে জ্বালা -নিয়েছিলে প্রেমের মালা
তবুও বসে আছি প্রতীক্ষায়া।

আবার আসবে ফিরে
ধানসিঁড়ি নদীর তীরে,
বটের ছায়া মূলে,
রাখিবো হাত-দু‘জনে –দু‘জনে তরে
বেঁধে ছিলামি আঁখি জলে
আমি পরেছি তোমার আঁচলে,
দিয়েছিলাম একরাশ ফুল।

পেয়ে ছিলাম একরাশ জ্বালা।
মায়াবিনি প্রতিমা কৃষ্ণচূড়ার বনে
হারিয়ে যাওয়া ,দোয়েল কোয়েল এর ডানায় মেলে
উরে ছিল দু‘চোখের স্বপ্ন শৃক্ষলে।

সবুজ শ্যামল ফুলের কুঞ্জে
বেঁধেছি সুর নীল আকাশের বুকে
রেখেছি হাত তোমারি হাতে
দেখেছি প্রেম তোমারি চোখে

সুরের তানে কেটেছে দীঘল বেলা-মনের মায়া জালে
বসেছি বটের মূলে ছায়া তলে নদীর-ধারে কুঞ্জবনে
তোমার প্রতীক্ষায়া অভাগা হৃদয়ে।
– –

Continue Reading

আবৃতি

কৃষ্ণকলি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Avatar

Published

on

By

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিলনা তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে
ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে
কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

পূবে বাতাস এল হঠাত্‍‌ ধেয়ে,
ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা,
মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে,
আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

এমনি করে কাজল কালো মেঘ
জ্যৈষ্ঠমাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি করে কালো কোমল ছায়া
আষাঢ়মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাত্‍‌ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

Continue Reading

Trending

error: Content is protected !!