Connect with us

কবিতা

অপেক্ষা-ইমরুল হাসান

Avatar

Published

on

অপেক্ষার প্রহর বড়ই কষ্টকর
তবুও আছি অপেক্ষায় তোমার,
দিয়েছিলে জ্বালা -নিয়েছিলে প্রেমের মালা
তবুও বসে আছি প্রতীক্ষায়া।

আবার আসবে ফিরে
ধানসিঁড়ি নদীর তীরে,
বটের ছায়া মূলে,
রাখিবো হাত-দু‘জনে –দু‘জনে তরে
বেঁধে ছিলামি আঁখি জলে
আমি পরেছি তোমার আঁচলে,
দিয়েছিলাম একরাশ ফুল।

পেয়ে ছিলাম একরাশ জ্বালা।
মায়াবিনি প্রতিমা কৃষ্ণচূড়ার বনে
হারিয়ে যাওয়া ,দোয়েল কোয়েল এর ডানায় মেলে
উরে ছিল দু‘চোখের স্বপ্ন শৃক্ষলে।

সবুজ শ্যামল ফুলের কুঞ্জে
বেঁধেছি সুর নীল আকাশের বুকে
রেখেছি হাত তোমারি হাতে
দেখেছি প্রেম তোমারি চোখে

সুরের তানে কেটেছে দীঘল বেলা-মনের মায়া জালে
বসেছি বটের মূলে ছায়া তলে নদীর-ধারে কুঞ্জবনে
তোমার প্রতীক্ষায়া অভাগা হৃদয়ে।
– –

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

কবিতা

পিরিতি- ইমরুল হাসান

Avatar

Published

on

By

প্রিরিতি

ঐ হুনছোস এখানা কথা?
বটতলায় দুইডা ছ্যামরা ছেমরি পিরিতি করে !
হা হা হা – ঢং করিস নারে বিলাসী। ছেমরির চেহারা কেমুনরে?
ক্যান তুই কী পিরিতি করবার চাস ঐ ছেমরির লগে –
হ করুমুইতো তুই তো মোর লগে পিরিতি করোস না-
আমাগোর আবার পিরিতি –
এ্যামুন কথা কস ক্যান রে তুই? তোর কী মেলা কষ্ট ঠেহে-
দহনে মোর পাপে তাপে পুরে যাস তহন ক্যামেনডা লাগে,
সিদা কথা হুন আমাগো জন্য পিরিতি নারে
পিরিতি করে বড় লোক ছেমড়া- ছেমরি

যাগো ভাত জুটে না কপালে
বাতি জ্বলে না ঘরে, তাগো আবার পিরিতি কিরে!
বৃষ্টি নামলে ফুটো দিয়া জল পড়ে
দুইচোঁখে দেহস নারে –
হুন বিলাসী?

নুন আনতে পান্তাফুরায় প্রেম-পিরিতি এর মধ্যই হয়-
কথা ক- তোর জন্য পরাণডা পুরে,
হাঁঝের কালে সাঁঝবি তুই
ঘুরতে যামু বকুলপুরে, নানীর বাড়ির খালের পাড়ে,
রেডি থাহিস গো বিলাসী!!
মেলা থেইকা কিনাদিমু শাড়িচুড়ি,
আলতা-সুনু পাওডার কবিরাজের বাড়ী থেইকা!
বিরাট বড় মেলা বহে?
আলোর ঝলোকে বুঝবি তুই পিরিতি কী জিনিসি রে। “বিলাস- (সংক্ষিপ্ত)

Continue Reading

আবৃতি

কৃষ্ণকলি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Avatar

Published

on

By

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিলনা তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে
ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে
কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

পূবে বাতাস এল হঠাত্‍‌ ধেয়ে,
ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা,
মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে,
আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

এমনি করে কাজল কালো মেঘ
জ্যৈষ্ঠমাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি করে কালো কোমল ছায়া
আষাঢ়মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাত্‍‌ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার পরে দেয়নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায়নি অবকাশ।
কালো? তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।

Continue Reading

কবিতা

লেখা পড়া করে যেই – মদনমোহন তর্কালঙ্কার

Avatar

Published

on

By

লেখা পড়া করে যেই।
গাড়ী ঘোড়া চড়ে সেই॥
লেখা পড়া যেই জানে।
সব লোক তারে মানে॥
কটু ভাষী নাহি হবে।
মিছা কথা নাহি কবে॥
পর ধন নাহি লবে।
চিরদিন সুখে রবে॥
পিতামাতা গুরুজনে।
সেবা কর কায় মনে॥

Continue Reading

Trending

error: Content is protected !!